সামাজিকভাবে অপদস্থ হওয়া সেই কয়েজনকে শিক্ষার্থীদের বলছি...
তোমরা অযোগ্য না।
অন্য সবার মতো তোমাদেরও সব আছে।
মেধা, শক্তি, সুন্দর একটা আগামী... সব... সবকিছু।
শুধু বর্তমান সময়টাই খারাপ যাচ্ছে, এই যা।
তবে এই খারাপ সময়টা বেশিদিন টিকবে না।
আশা বাচিয়ে রাখো। মাথা থেকে সব বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মনযোগ দাও।
সেই সাথে ঐসব মানুষদের ধন্যবাদ দাও, যারা নানান ঘটনার জন্ম দিয়ে তোমাদের জাগাতে সাহায্য করলো। হোক একটু ভিন্ন পন্থায়। হোক একটু অপমানের মধ্য দিয়ে। তাতে কি? গন্তব্য তো একটাই, সফলতা।
নিজেকে প্রমান করার অজস্র সময় এখনো তোমাদের হাতে রয়েছে। প্রমান করো নিজেদের। দেখিয়ে দাও, মানুষ যা পারে, তোমরাও তা পারো।
তবে, আগের থেকে একটু বেশিই কষ্ট করতে হবে তোমাদের। চ্যালেঞ্জ বলে কথা। প্রতিউত্তর দেবার যোগ্যতা অর্জন করা বলে কথা।
শোন, মানুষের জীবনে এমন টার্নিং পয়েন্ট সবার আসে না। তোমাদের এসেছে। প্রশ্নের উত্তর পারোনি বলে নিজেকে ছোট ভেবো না। আমার সিলেবাস থেকে প্রশ্ন করলে আমিও সব পারবো না। আর, আমি দম্ভ করে এটাও বলবো না যে, তোমাদের পজিশনে থাকলে আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিশ্ব জয় করতাম। একটু সীমাবদ্ধতা সবার মাঝেই থাকে। তেমনি তোমাদেরও আছে। হয়তো একটু বেশিই। সব মানুষ সমান মেধা নিয়ে জন্মায় না।
চ্যালেঞ্জ গ্রহন করো। যোগ্যতা নিয়ে হেয় করা মানে নিজে থেকে ঝরে যাওয়া না। এখান থেকে জেগে ওঠার শক্তিও পাওয়া যায়। হেয় হবার যন্ত্রণা মুছে তোমরা শুধু এই ঘটনা থেকে শক্তিটাই গ্রহন করো।
প্রান খুলে প্রার্থনা করি, একদিন যেন তোমরা সফল হবেই। সবাই একসাথে ঐসব নিন্দুকের সামনে একদিন দাড়াবেই। অপমানিত হতে নয়, সমুচিত জবাব দিতে। আর আমি এটাও মনে করি, সেদিন তোমাদের ঠোটের কোনে এক টুকরো হাসিই তাদের নিন্দার সঠিক জবাব দেয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।