সুচিন্তিত বিবেক, একটি স্থির লক্ষ্য এবং সফলতা
আমাদের দাবি, আমরা মানুষ।
বলতে দ্বিধা নেই, আমরাই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব।
কথাগুলো কেউ অস্বীকার করতে চাইবেনা কখনও।
সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আমাদের কাছে পৃথিবীর অনেক চাওয়া, যা চির-কল্যাণকর।
এজন্যই বিধাতা তার সর্বোত্তম সৃষ্টিরূপে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন আমাদের।
আর, এই আমরাই যখন সব ভুলে লিপ্ত হই খারাপ কোন কাজে, খারাপ জেনেও অনবরত করে যাই সেগুলো, তখন কোথায় থাকে আমাদের মনুষ্যত্বের দাবি?
এর উত্তর দেয়ার সামর্থ্য হয়ত আমাদের নেই।
মূল কথায় আসি... ফেইসবুক হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম এক মাধ্যম। দিনের অনেকটা সময় আমরা অতিবাহিত করি এখানে। একটু ইচ্ছা থাকলেই আমরা আমাদের উত্তম সব ধারনাগুলো দিয়ে সুন্দর করতে পারি নিজের জীবন, অপরের জীবন। সাহায্য করতে পারি একে অপরকে।
জানি, এ খুবই সামান্য। কিন্তু এই সামান্যই একদিন অনেক বড় হয়ে হাজির হবে আমাদের সামনে।
আফসোস... ভালো কোন কাজে অংশগ্রহণ তো নেই-ই, বরং খারাপ কাজে আমাদের উৎসাহ বেড়েই চলছে।
বিধাতা আমাদের এই সুন্দর দেহের মাঝে পবিত্র-অপবিত্র অনেক কিছুই রেখেছেন। যা অতীব প্রয়োজনীয়।
কিছু মানুষ, যারা পবিত্র সব অঙ্গগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার না করে অপবিত্র অঙ্গ নিয়ে বিশ্লেষণ করে বিসর্জন দেয় নিজের মনুষ্যত্বকে। অপবিত্র সব আগ্রাসী প্রভাবে হারিয়ে যায় পবিত্র অনেক কিছুই।
এরই উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দাড় করানো যায় কিছু পেইজ এডমিনকে, যাদের অন্যতম হাতিয়ার হল ১৮+ পেইজ। মানসিকতার নিকৃষ্টতম ব্যবহার লক্ষ করা যায় এখানে। কিছু ইউজারও আছে, যারা তাদের লাইক/কমেন্ট দিয়ে উৎসাহিত করে ঐসব নিকৃষ্ট-মনা মানুষদের। নোংরা দুর্গন্ধের মতো লিখিত ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্রী সব চিন্তা ভাবনা।
পতিতালয়ের রমণীদের/পতিতালয়ে গমনকারী মানুষেরও সামান্যতম একটা লজ্জাবোধ থাকে। যে কারণে তারা তাদের কার্য সম্পাদন করে অতি গোপনে। অপরদিকে যারা এরই সমপর্যায়ের কোন কাজ উন্মুক্ত-ভাবে করে থাকে, তাদেরকে কি নামে সম্বোধন করবেন আপনি?
উত্তর জানা নেই কারও...
এদের ক্ষেত্রে বেহায়াপনার সীমানা নির্ধারণ করা তো দূরের কথা, কল্পনা করাও খুব কঠিন।
ধিক্ তাদের, যারা বিধাতার সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত কে পদদলিত করছে এভাবে।
একবার ভাবুন... এসবের সার্থকতা কোথায়??? কি লাভ এসব বেহায়াপনায়?
সময় আছে...শুধরে নিন নিজেকে, পবিত্র রাখুন আপন জীবন।
আসুন...আজই আনলাইক(Unlike) করে দেই ঐসব পেইজ গুলো। খারাপ কিছু পরিত্যাগ করে অন্তত একটা ভালো কাজ করি।
দেখবেন, উৎসাহ না পেয়ে একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে ওই নোংরা মানসিকতা।
একটা প্রতিজ্ঞা করি...
জীবন নষ্ট-কারি ঐসব পেইজ থেকে সরিয়ে নেবো নিজেকে, ফিরিয়ে আনবো প্রিয় সব বন্ধুদের।